বরই বিক্রেতা ও আমাদের ক্রিকেট
‘এই ব্যবসার মাকে_ *দি’ হঠাৎ বিশ্রী গালি শুনে তাকাতেই গোলাকার একটা জটলার
একদিকে গালিবাজকে দেখা গেল। ছোট্ট গাট্টা-গোট্টা চেহারা। কোমরে গামছা
বাঁধা। মাঝে মাঝেই সে ব্যবসায়ের মাকে ইয়ে করতে চাচ্ছিল। তিন/চারটা কথার
মাঝখানেই সেই ভয়াবহ গালিটা ব্যবহার করছিল।
‘কি জঘন্য লোকটা’ ভেবে আমি দুরেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। নৈলে এমন নোংরা গালি কেউ দেয়। আমি অফিসে যাওয়ার গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছি।
ইতোমধ্যে অনেক লোক জুটে গেছে। লোকটা বড়ই বিক্রতা। ফুটপাতের নিচে টুলে বসে ঝাকাতে করে বড়ই বিক্রি করাদের একজন। একটু উঁকি দিতেই ঝাকার সামনের দিকে ছিটিয়ে থাকা বেশ কিছু বড়ইও দেখা গেল। কয়েকজন ধুলা-মাখা সেই বড়ই গুছিয়ে দিচ্ছিল। ফুটপাতের ধুলা-ময়লার মেকাপে সেই বড়ইয়ের যা চেহারা তাতে ফ্রিতেও কেউ খাবে বলে মনে হলনা।
ওদের পাশেই আমি গাড়ীতে উঠে বসলাম। আমার পাশেও একজন বসলেন।একসময় আমি জিজ্ঞাসা করলাম ভাই, ‘ওর বড়ই কে ফেলে দিছে’?
‘উনি নিজেই ফেলে দিছেন’।
‘বলেন কি’? আমি উৎসুক হলাম।
সে যা বল্ল তার সংক্ষেপঃ কয়েকটা ছেলে এসেছিল বড়ই কিনতে, এসেই বড়ই দেখতে দেখতে খাওয়া শুরু করে দেয়, চার/পাচজন মিলে এই কাজ করছিল আর দরদাম করছিল। হঠাৎই বড়ই বিক্রেতা সেই খারাপ কাজটা করে ফেলে। ব্যবস্যায়ের মাকে বাপ বলে গালি দিয়ে ঝাঁকাতে লাত্থি মারে।তাতেই অনেক বড়ই ছিটকে পড়ে যায়।
লোকটা দেখি আসলেই চরম খারাপ, নিজের বড়ই নিজেই লাত্থি মেরে ফেলে দেয়। আবার মহান ব্যবসায়ের মাকেও ইয়ে করে।
এইসকল লোক ঢাকার এই সভ্য নগরে আসে কি করে? এদের কে ভিসা দেয়? আমি ভাবছিলাম।
এবার আমি পাশের লোকের সাথে টুকটাক গল্প করে ফেললাম। ও একটা রেস্টুরেন্টে কাজ করে। লেখাপড়া কম। এই গালিবাজ ফালতু লোকটা নিয়ে তার মতামত কি জিজ্ঞাসা করতেই সে বল্লঃ ‘ভাই, বড়ই বেঁচেই সে সংসার চালায়। সেখানে কেউ এসে ফ্রি খেয়ে যাবে তাতে তো সে বিরক্ত হবেই। আমি হলে ঐ শালাদের মুখে ঘুষি লাগাতাম’। ‘তাই বলে পবিত্র ঝাঁকাতে লাত্থি মারবে? ব্যবসায়ের মাকে ইয়ে করবে’? আমি জিজ্ঞেস করলাম। ‘ভাইরে, এটা ঠিক যে কাজটা খারাপ কিন্তু আপনার ঘটনাটাও তো দেখতে হবে, আম্প্যায়ার আর আইসিসি মিলে আমাদের যেইভাবে হারিয়ে দিল তাতে আমরা কি শুধু ভদ্রলোক হয়ে থাকি তাইলে কি কিছু হবে? আমরা তো প্রতিবাদ করতে হবে তাই না?...
...... অন্যায়ের প্রতি ন্যনুতম একটা রিএকসান না দেখাতে পারলে আর কিসের জীবন, কিসের পুরুষ?’ রেস্টুরেন্টে কাজ করা ছেলেটার চোয়াল শক্ত দেখাল।
বড়ই ওয়ালা লোকটা বকেই যাচ্ছে, কিছু লোক সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করছে। দেখলাম সে তার কোমড় থেকে গামছা খুলে ফেলছে। ‘ভদ্রলোকদের পোলাদের সাথে মারামারি করবে নাকি হালায়?’- আমি ভড়কে গেলাম। আরে না, সে মনে হয় একটু পাট নিচ্ছে।
আমার গাড়ী ছেড়ে দিচ্ছে। জানালা দিয়ে দেখলাম বেয়াদপ গালিবাজ লোকটা গামছা দিয়ে যে চোখ মুচছে আর কেঁপে কেঁপে উঠছে।
যাক, ‘ভদ্র শহরে অশ্লীল গালি মনে হয় বন্ধ হল’ ভেবে আমি সামনের দিকে চোখ বাড়ালাম।
‘কি জঘন্য লোকটা’ ভেবে আমি দুরেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। নৈলে এমন নোংরা গালি কেউ দেয়। আমি অফিসে যাওয়ার গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করছি।
ইতোমধ্যে অনেক লোক জুটে গেছে। লোকটা বড়ই বিক্রতা। ফুটপাতের নিচে টুলে বসে ঝাকাতে করে বড়ই বিক্রি করাদের একজন। একটু উঁকি দিতেই ঝাকার সামনের দিকে ছিটিয়ে থাকা বেশ কিছু বড়ইও দেখা গেল। কয়েকজন ধুলা-মাখা সেই বড়ই গুছিয়ে দিচ্ছিল। ফুটপাতের ধুলা-ময়লার মেকাপে সেই বড়ইয়ের যা চেহারা তাতে ফ্রিতেও কেউ খাবে বলে মনে হলনা।
ওদের পাশেই আমি গাড়ীতে উঠে বসলাম। আমার পাশেও একজন বসলেন।একসময় আমি জিজ্ঞাসা করলাম ভাই, ‘ওর বড়ই কে ফেলে দিছে’?
‘উনি নিজেই ফেলে দিছেন’।
‘বলেন কি’? আমি উৎসুক হলাম।
সে যা বল্ল তার সংক্ষেপঃ কয়েকটা ছেলে এসেছিল বড়ই কিনতে, এসেই বড়ই দেখতে দেখতে খাওয়া শুরু করে দেয়, চার/পাচজন মিলে এই কাজ করছিল আর দরদাম করছিল। হঠাৎই বড়ই বিক্রেতা সেই খারাপ কাজটা করে ফেলে। ব্যবস্যায়ের মাকে বাপ বলে গালি দিয়ে ঝাঁকাতে লাত্থি মারে।তাতেই অনেক বড়ই ছিটকে পড়ে যায়।
লোকটা দেখি আসলেই চরম খারাপ, নিজের বড়ই নিজেই লাত্থি মেরে ফেলে দেয়। আবার মহান ব্যবসায়ের মাকেও ইয়ে করে।
এইসকল লোক ঢাকার এই সভ্য নগরে আসে কি করে? এদের কে ভিসা দেয়? আমি ভাবছিলাম।
এবার আমি পাশের লোকের সাথে টুকটাক গল্প করে ফেললাম। ও একটা রেস্টুরেন্টে কাজ করে। লেখাপড়া কম। এই গালিবাজ ফালতু লোকটা নিয়ে তার মতামত কি জিজ্ঞাসা করতেই সে বল্লঃ ‘ভাই, বড়ই বেঁচেই সে সংসার চালায়। সেখানে কেউ এসে ফ্রি খেয়ে যাবে তাতে তো সে বিরক্ত হবেই। আমি হলে ঐ শালাদের মুখে ঘুষি লাগাতাম’। ‘তাই বলে পবিত্র ঝাঁকাতে লাত্থি মারবে? ব্যবসায়ের মাকে ইয়ে করবে’? আমি জিজ্ঞেস করলাম। ‘ভাইরে, এটা ঠিক যে কাজটা খারাপ কিন্তু আপনার ঘটনাটাও তো দেখতে হবে, আম্প্যায়ার আর আইসিসি মিলে আমাদের যেইভাবে হারিয়ে দিল তাতে আমরা কি শুধু ভদ্রলোক হয়ে থাকি তাইলে কি কিছু হবে? আমরা তো প্রতিবাদ করতে হবে তাই না?...
...... অন্যায়ের প্রতি ন্যনুতম একটা রিএকসান না দেখাতে পারলে আর কিসের জীবন, কিসের পুরুষ?’ রেস্টুরেন্টে কাজ করা ছেলেটার চোয়াল শক্ত দেখাল।
বড়ই ওয়ালা লোকটা বকেই যাচ্ছে, কিছু লোক সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করছে। দেখলাম সে তার কোমড় থেকে গামছা খুলে ফেলছে। ‘ভদ্রলোকদের পোলাদের সাথে মারামারি করবে নাকি হালায়?’- আমি ভড়কে গেলাম। আরে না, সে মনে হয় একটু পাট নিচ্ছে।
আমার গাড়ী ছেড়ে দিচ্ছে। জানালা দিয়ে দেখলাম বেয়াদপ গালিবাজ লোকটা গামছা দিয়ে যে চোখ মুচছে আর কেঁপে কেঁপে উঠছে।
যাক, ‘ভদ্র শহরে অশ্লীল গালি মনে হয় বন্ধ হল’ ভেবে আমি সামনের দিকে চোখ বাড়ালাম।
Comments
Post a Comment